খুলনার কয়রায় শাশুড়ী ও শালিকার হাতে নির্মমভাবে নির্যাতন এর শিকার জামাই

জি এম জিয়াউল হাসান জিল্লুর কয়রা প্রতিনিধিঃখুলনার কয়রায় শ্বশুরবাড়ি এসে শাশুড়ির মার খেয়ে নির্মমভাবে ভাবে নির্যাতনের শিকার হলেন জামাই। দুপুর ২ টায় কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের অর্জুনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিউল ইসলাম নামে ওই জামাইকে আহত অবস্থায় গ্ৰামবাসি উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন, আহত রবিউল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানায়, একই ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর পুত্র রবিউল ইসলাম এর সহিত অর্জুণপুর গ্রামের আনারুল মোড়লের মেয়ে রুনা পারভীনের সহিত তিন বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ হয়ে। রবিউল ঢাকার একটা কোম্পানিতে স্বল্প বেতনের চাকরি করেন সেই সুবাদে সে ঢাকাতে থাকেন। এদিকে তার স্ত্রী রুনা তার শ্বশুরের কাছে থাকতে চায় এ-ই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। রুনা তার বাপের বাড়িতেই শেষ পর্যন্ত থাকেন। তাদের ১৭ মাসের একটা ফুটফুটে পুত্র সন্তান রয়েছে। রবিউল ছুটি নিয়ে গত সোমবার বাড়ীতে আসেন এবং তার বাড়ীতে তার স্ত্রী না থাকায় সোমবার দুপুরে সে তার শ্বশুর বাড়ীতে যায় তার স্ত্রী সন্তান কে নিয়ে আসতে। এ সময় রবিউলের স্ত্রী শাশুড়ীর ও শালীকার সাথে বাগবিতণ্ডা হয় , এক পর্ষায়ে তার শাশুড়ী, শালীকা সুমি ও তার স্ত্রী মিলে রবিউলকে মারধর করে নির্মমভাবে নির্যাতন করে , রবিউলের হাক চিৎকারের শব্দ গ্ৰামবাসীর কানে পৌঁছালে পরে স্হানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জায়গীর মহাল চিকিসার জন্য ভর্তি করে দেন। এ মারামারির বিষয়ে জানতে রবিউল ইসলাম এর শ্বশুর আনারুল ইসলাম মোড়লের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে সেটা বন্ধ পাওয়া যায়।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ