খাটাইল সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলনে নোংরা গামছা, প্রধান শিক্ষকের দাবি এটা ষড়যন্ত্র।
খুলনার দাকোপ উপজেলার ১নং পানখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের অধীনে খাটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পতাকার উড়ানোর বার পোস্টে নোংরা ছেড়া গামছা উড়তে দেখা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ই ডিসেম্বর রোজ সোমবার সকাল ৭ টার সময়। এ ঘটনায় এলাকা বাসি ও সাধারণ জনগন সুশীল মহল তীব্র নিন্দা ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। জানা যায়, ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস,জাতি যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালন করে। সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দিনটি বিশেষ ভাবে সরকারী নিয়মে পালন করে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। এর মধ্যে দাকোপের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালনে চরম অবহেলা ও অনিয়ম করে। খাটাইল সরকারি প্রাথঃ বিদ্যালয় তাদের ইচ্ছে মতো দিনটি পালন করে। প্রশাসনিক সুত্রে জানা যায়, শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্দেশনা মুলক ও দিনটি পালনের বিধিনিষেধ গ্রুপে নোটিশ প্রদান করে।নোটিশে উল্লেখ থাকে যে, সূর্যদায়ের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন ও সূর্যস্থ যাওয়ার সাথে সাথে পতাকা নামানো। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র- ছাত্রীদের বিজয় দিবস সম্পর্কে জ্ঞাত করা ও বিশেষ আলোচনা করে বিজয় দিবস সম্পর্কে ধারনা দেওয়া সহ শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া। কিন্তু,দুঃখের বিষয়, ওই দিন অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর খাটাইল সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রাধন শিক্ষক শুপদ রায় ছিলেন না। এবং তিনি বিজয় দিবসের বিষয় কিছুই জানে না। তাছাড়া ওই দিন সকাল ৮টা বেজে গেলেও পতাকা দেখা যায়নি। বরং বিজয় দিবস পালনে তেমন কোন সাড়া বা কিছুই চোখে পড়ে না।কিন্তু  দুঃখের বিষয় ওই সময় পতাকা উত্তোলনের কুটিতে ছেড়া নোংরা গামছা উড়তে দেখা যায়। ওই সময় ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ প্রশান্ত কুমার মন্ডলসহ এলকার যুবক মোঃ রেজাউল ইসলাম শেখের উপস্থিতিতে ও সহযোগিতায় নোংরা গামছা নামানো হয়। এবং ওই সময় হাজির হয়, বিদ্যালয়ের দুই ছোট্ট ছাত্রী, হাতে পতাকা হাতে নিয়ে। উপস্থিত উক্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। ওই সময় পতাকা উত্তোলন ও বিজয় দিবসের বিষয়ে কার্য বিধি সম্পর্কে ও নোংরা ছেড়া গামছার বিষয় প্রধান শিক্ষকের কাছে মোটো ফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, গ্রুপে আমি চিঠি পেয়েছি , ওর মধ্যে কি লেখা আছে, তা তো ভালো করে পড়ি দেখিনি। তাছাড়া আমরা সকল শিক্ষকরা দুরে থাকি, একটু দেরি হতেই পারে। আর গামছার বিষয়,আমার বিরুদ্ধে এটা একটি ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে যাবো।১৬ই ডিসেম্বর দিবস পালনে অবহেলা ও নোংরা ছেড়া গামছা পতাকার কুটিতে উড়ানো সহ সকল বিষয় তদন্তের দাবি এলাকাবাসির।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ