কেএমপি খানজাহান আলী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৯ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক
আপডেটঃ সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ | ৬:১২
45 ভিউ
কেএমপি খানজাহান আলী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৯ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক
ডেস্ক রিপোর্টঃ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৯ বছর আত্মগোপনে থাকার পর খানজাহান আলী থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার।খানজাহান আলী থানা পুলিশ কর্তৃক গত ১১/০৯/২০২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যা থেকে শুরু করে অদ্য ১২/০৯/২০২৩ ইং সকাল ১১ ঘটিকা পর্যন্ত বিরামহীন ১৪ ঘন্টার বিশেষ অভিযানে খানজাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ কুমার দাসের নেতৃত্বে পথের বাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই(নি:) কামরুল হুদা নাঈম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ খুলনা জেলার ফুলতলা থানাধীন বুড়িয়ারডাঙ্গা এলাকা থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ পলাতক থাকা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১। জাহিদ হাসান (৫০) পিতা-কাওসার মোল্লা, সাং-পাড়িয়ারডাঙ্গা, থানা-খানজাহান আলী, জেলা-খুলনা কে গ্রেফতার করেন। জাহিদ হাসান ১৯৮১ সালে খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। সে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পান, যমুনা সেতু প্রকল্পেও তিনি কাজ করেন,ঢাকা সেনানিবাসে নবম বেঙ্গল রেজিমেন্টে একজন সৈনিক পদে তিনি চাকরি করতেন এবং ২০০৪ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় বিবাহ করেন,বিবাহ পরবর্তী সময়ে তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে জাহিদ হাসান দশ দিনের ছুটিতে বাড়ি এসে তার স্ত্রীকে হত্যা পূর্বক লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দেন, দশ দিনের ছুটি আসার পর সে আর তার বাহিনীতে যোগদান করেননি সেখান থেকে তিনি পলাতক হয়ে যান,এক পর্যায়ে জাহিদ হাসানের স্ত্রীর মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার হয় এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় মামলা করেন অভয়নগর থানার মামলা নম্বর-০৩, তারিখ-০৬.০১.০৪, ধারা-৩০২/২০১ পেনাল কোড,পরবর্তীতে মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে জাহিদ হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পরবর্তী সময়ে জাহিদ হাসান ভারতে চলে যান,বাংলাদেশে ফিরে সে চিটাগাং,ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে, ১২ বছর পূর্বে যশোর রাজঘাট মইনুদ্দিনের মেয়ে সুমিকে বিবাহ করেন, সর্বশেষ সে খুলনা জেলায় ফিরে এসে ফুলতলা এলাকায় বেজের ডাঙ্গা নামক একটি গ্রামে ওমর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, এবং তার নিজের নাম সহ পিতা মাতার নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র হোসেন নাম ধারণ করে এবং নিজের বেশভূষণের কিছুটা পরিবর্তন এনে নিজেকে আড়াল করার উদ্দেশ্যে মুখে দাড়ি রেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন যাবত চাকরি করতে থাকে।কেএমপি খুলনার মাননীয় পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার) পিপিএম স্যারমাদক,অস্ত্র,সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার,মানুষের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান সহ সুন্দর একটি শহর উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে যে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তারই ধারাবাহিকতায় খানজান আলী থানা পুলিশ উক্ত সাজা প্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করে।