কুমিরের আক্রমণে নিহত খায়রুলের স্ত্রীর পাশে যমুনা টিভি ও যুব ফাউন্ডেশন

**ওলি উল্লাহ**

যমুনা টেলিভিশনের বিশিষ্ট সাংবাদিক মহাসিন উল হাকিমের আর্থিক সহযোগিতায় এক ঝাঁক ছাগল হাতে খায়রুলের স্ত্রীর।আলোর খবরের পক্ষ থেকে সকল নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন।

দাকোপের কালাবগি গ্রামে।কুমিরের আক্রমণে নিহত খায়রুলের স্ত্রীর হাতে একঝাঁক ছাগল তুলে দিলেন যমুনা টিভির মহাসিন উল হাকিম ভাই।

জানা যায়,ঈদুল আযহার এক দিন আগে অভাবের সংসারে একটু ঈদকে ভালো ভাবে উপভোগ করার জন্য নদীতে মাছ ধরতে যায় খায়রুল। তখন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টা। খায়রুলকে রাক্ষুসে কুমির নিয়ে যায় নদীর গভীরে,মহূর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি,পরের দিন লাশ নদীতে ভাসমান উদ্ধার হয়।

এমন পরিস্থিতিতে খায়রুলের পরিবারের পাশে দাকোপের সাহসী কিছু যুবক একতাবদ্ধ, স্বনামধন্য কালাবগির মানবিক সংগঠন যুব ফাউন্ডেশন এগিয়ে যান।

ঈদ সামগ্রীসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে হাজির হয় খায়রুলের পরিবারের পাশে। বার বার খোঁজখবর নেন পরিবারটির। সব সময় সান্তনার বানি নিয়ে কালাবগির সাহসী যুবকেরা পাশে রয়েছেন।

দাকোপের কালাবগি গ্রামের যুব ফাউন্ডেশনের এগিয়ে আসার এমন সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে। দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন সুশীল সমাজ, সমাজিক সংগঠন, এনজিও, গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ, এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসেন।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ইং ২৯ জুলাই রোজ শনিবার যমুনা টিভির বিশিষ্ট সাংবাদিক সুন্দরবন বনদস্যু নির্মূলের অগ্র নায়ক মহাসিন-উল হাকিমের আর্থিক সহায়তায় ও কালাবগী যুব ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায়। কুমিরের আক্রমণে নিহত খায়রুল ইসলামের স্ত্রী মিনান্নাহার বেগমকে লাইভ স্টক ছাগলের খামার ও ছাগলের ঘর তৈরি করে দেয়।

এ সময়ে ছাগলের খামার উদ্বোধন ও ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংগঠনের উপদেষ্টা দৈনিক পূর্বঞ্চাল প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক গাজী আবুল বাশার, উপদেষ্টা শেখ আবু সাঈদ ও কালাবগি যুব ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম।

আরো উপস্থিত ছিলেন,গাজী হাফিজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, ইখলাছুর রহমান, আল-আমিন সানা, আলমগীর সরদার, আব্দুল কাদের মোড়ল, হাফিজুর রহমান গাজী ও আলমগীর মোড়ল ও কালাবগী যুব ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ