আনন্দ নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ মিটার নিজস্ব কাজে ব্যবহার ও যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালনে অবহেলা

ডেস্ক রিপোর্টঃপ্রধান শিক্ষক সুরঞ্জন কুমার বিশ্বাস কিভাবে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ মিটার নিজস্ব কাজে ব্যবহার করছে।

আনন্দ নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জন কুমার বিশ্বাসের একমাত্র চার্জার মাটরবাইকটি বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ মিটারে চার্জ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আজ ইং ৭জুলাই রোজ সোমবার সময় তখন ১০টা। সারা দিন বৃষ্টি আর বৃষ্টি। বহিরা আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে আনন্দ নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত অনুসন্ধানী টিম।

বিদ্যালয়ের একমাত্র বিদ্যুৎ মিটার দিয়ে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের বারেন্ডায় তার মোটরবাইকের সাথে চার্জ সংযোগ দিয়ে রেখেছেন। তাছাড়া তিনি প্রতিদিন স্কুল চলাকালীন সময় মটরবাইকটি এভাবে চার্জ দিয়ে রাখেন।

বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,বিদ্যালয় খোলা থাকলে প্রতিদিন এমন চিত্র উপস্থিত লোকের চোখে পড়ে।

সর্ব শেষ গত ইং ১৫ ই আগষ্ট ভোর ৬ টা ৪০ মিনিটে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়। জাতীয় শোক দিবসের কোন চিত্র চোখে পড়ে না।

প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জন কুমার বিশ্বাসের মুটো ফোনে কল করা হলে কেহ ফোন ধরে না।

পরে চালনা ডাকবাংলো মোড়ের নুরুলের চায়ের দোকানে প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জন কুমার বিশ্বাসকে বসে থাকতে দেখে কাছে গিয়ে জানতে চাওয়া হলো। স্যার, কেমন আছেন, আজ তো ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।

আপনি বিদ্যালয়ে যাননি,তিনি জবাবে উত্তর দেন, আমার পক্ষ থেকে গোবিন্দ আছে সে পতাকা উঠাবে। তাছাড়া সে পতাকা উঠিয়েছে।

প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জন কুমার বিশ্বাস পরে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হলে কিছুক্ষন পূর্বেই পতাকা উঠিয়েছেন।

তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের মটরবাইকের চার্জ দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ মিটারে বিল বেশি উঠে না। তাছাড়া এটা কোন সমস্যা নয়। ওই কিছু লোক আছে মানুষের পিচে লাগে তাই।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ